আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শরীরে ছোটখাটো কিংবা গভীর কাটা ছেড়া হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। শরীরের কোথায় কেটে গেলে কাটা স্থান বা ক্ষত সারাতে অন্যান্য ঔষধের পাশাপাশি মলমও বেশ কার্যকরী হয়ে থাকে। তাই আমরা অনেকে জানতে চাই ক্ষত শুকানোর সবচেয়ে কার্যকরী মলম কোন গুলো। এই পোস্টে আমরা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী কাটা জায়গা শুকানোর মলম এর নাম তুলে ধরেছি।
কাটা জায়গা শুকানোর মলম এর নাম ও সঠিক ব্যবহার।
আমাদের শরীরের কাটা জায়গা শুকানোর জন্য সঠিক মলম ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটি দ্রুত সময়ে ক্ষত নিরাময় করার পাশাপাশি বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করে থাকে । আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে ছোটখাটো কাটাছেড়া হওয়া একটি স্বাভাবিক চিত্র। বিশেষ করে যদি কাটা স্থানে সংক্রমণ হয়ে যায় এবং সঠিক চিকিৎসা না নেওয়া হয়। কাটা জায়গায় ঘা হলে তা থেকে দ্রুত আরাম পেতে এবং ঘা শুকিয়ে তোলার জন্য সঠিক মলম ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক মলম শুধুমাত্র ব্যথা কমায় না এটি জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে এবং দ্রুত কাটা ঘা সারাতে কার্যকরী হয়।
কাটা জায়গা কেন দ্রুত শুকানো প্রয়োজন ?
ঘা দ্রুত শুকানো অত্যন্ত জরুরি কেননা দীর্ঘ সময় ঘা স্থায়ী হলে এবং শুকাতে দেরি হলে তা শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। কাটা জায়গায় ঘা জীবাণু প্রবেশের জন্য একটি উন্মুক্ত জায়গা তৈরি করে। যদি এ কাটা ঘা দ্রুত শুকানো না যায় বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখা হয়, তবে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাল সংক্রমণের তৈরি হয়।
সংক্রমণের ফলে কাটা স্থানের ঘা ফুলে লালচে হয়ে উঠতে পারে এমনকি পুঁজ জমার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন কাটা ঘা স্থায়ী হলে এবং শুকাতে দেরি হলে সে জায়গায় ব্যথা সহ অস্বস্তি আরও বেড়ে যায় যা আমাদের দৈনন্দিন কাজে প্রভাব ফেলে।
বিশেষ করে কাটা জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে এটি নিকটস্থ টিস্যু এবং রক্তের সাথে মিশে গুরুতর সমস্যার তৈরি করতে পারে। এছাড়াও সঠিক সময়ে কাটা ঘা না শুকালে সেখানে দাগ বা স্থায়ী চিহ্ন হয়ে যায়। তাই সঠিক মলম ব্যবহার করে কাটা ঘা দ্রুত শুকানো অত্যন্ত প্রয়োজন।
কাটা জায়গা দ্রুত শুকানোর সেরা মলম এর নাম।
কাটা ছেড়ার এ ধরনের আঘাত থেকে মুক্তি পেতে এবং তা দ্রুত সময়ে নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক মলম বাজারে পাওয়া যায়। এই মলম গুলো কাটা ঘা শুকাতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে দারুভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
নিচে দ্রুত কাটা জায়গা শুকানোর মলম এর নাম গুলো উল্লেখ করা হলো:
- বেক্ট্রোসিন ( Bactrocin ) মলম
- বায়োডিন ( Viodin ) মলম
- নেবানল ( Nebanol ) মলম
- ট্রেগো ( Trego ) মলম
- পভিসেপ ( Povisep ) মলম
- মোপি অয়েন্টমেন্ট ( Mupi Ointment ) মলম
- বিটাডিন অয়েন্টমেন্ট ( Betadine Ointment ) মলম
ইত্যাদি মলম গুলো কাটা স্থান শুকাতে বেশ দারুণভাবে কার্যকর হয়ে থাকে। উল্লেখিত মলম গুলো কাটা স্থানে সঠিকভাবে এবং যথাযথ সময়ে নিয়ম মাফিক প্রয়োগ করলে খুব দ্রুত কাটা স্থান শুকাতে শুরু করবে। তবে শরীরে কাটার পরিমান যদি বেশি বা গভীর হয়ে থাকে তাহলে শুধু এ মলম গুলো প্রয়োগ করলে কাটা ক্ষত নিরাময় হবে না। তার জন্য কাটা জায়গা বা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে হবে এবং তার পাশাপাশি এই মলম গুলোর যেকোন একটি প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে কাটা জায়গার ক্ষত দ্রুত নিরাময় হয়ে যাবে।
কাটা জায়গা শুকানোর মলম এর ব্যবহার বিধি এবং মুল্য।
উপরে আমরা আলোচনা করেছি কাটা জায়গা শুকানোর মলম এর নাম সম্পর্কে। এখন তুলে ধরবো উল্লেখিত মলম গুলোর সঠিক ব্যবহার বিধি। আমরা অনেকেই নানা রোগের বিভিন্ন ঔষধ গ্রহন করে থাকি। ঔষধের সঠিক ব্যবহার বিধি না জেনে সেবন করলে তা কোনো কাজে আসে না। তাই উল্লেখিত মলম গুলো প্রয়োগের পূর্বে সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপরে উল্লেখিত মলম গুলোর ব্যবহার বিধি নিচে উল্লেখ করা হলো:
- Bactrocin : বেক্ট্রোসিন কিছুটা বা পরিমান মতো হাতে নিয়ে কাটা স্থানে দিনে তিনবার প্রয়োগ করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে দু’বার এটি প্রয়োগ করতে হবে। একটি ১০ গ্রাম বেক্ট্রোসিন মলম এর মূল্য ১৫০ টাকা।
- Viodin : এটি প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে দু’বার প্রয়োগ করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে ১ থেকে ২ বার এটি প্রয়োগ করতে হবে। একটি ২৫ গ্রাম বায়োডিন মলম এর মূল্য ৫৫ টাকা।
- Nebanol : নেবানল মলমটি প্রয়োগের পূর্বে কাটা স্থান ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এই মলমটি প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে তিন বার প্রয়োগ করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে ২ বার প্রয়োগ করতে হবে। একটি ১০ গ্রাম নেবানল মলম এর মূল্য ৫৫ টাকা।
- Trego : ট্রেগো এই মলমটি প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে তিন বার প্রয়োগ করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে ২ বার প্রয়োগ করতে হবে। একটি ১০ গ্রাম ট্রেগো মলম এর মূল্য ১৪০ টাকা।
- Povisep : পভিসেপ এ মলমটি কিছুটা বা পরিমান মতো হাতে নিয়ে কাটা স্থানে দিনে এক বার প্রয়োগ করতে হবে। একটি ৫ গ্রাম পভিসেপ মলম এর মূল্য ২৫ টাকা এবং ২৫ গ্রাম পভিসনের মূল্য ৮০ টাকা।
- Mupi Ointment : মোপি অয়েন্টমেন্ট এই মলমটি পূর্নবয়স্ক এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে তিন বার প্রয়োগ করতে হবে। একটি ৫ গ্রাম মোপি অয়েন্টমেন্ট মলম এর মূল্য ৮০ টাকা।
- Betadine Ointment : বিটাডিন অয়েন্টমেন্ট এই মলমটি দিনে তিন বার প্রয়োগ করতে হবে। একটি ১৫ গ্রাম বিটাডিন অয়েন্টমেন্ট মলম এর মূল্য ৫০ টাকা।
উল্লেখিত ব্যবহার বিধি অনুযায়ী এ মলম গুলো প্রয়োগ করলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষত স্থান শুকিয়ে যাবে।
কাটা জায়গা শুকানোর ঘরোয়া উপায়
উপরে আমরা জেনেছি কাটা জায়গা শুকানোর মলম এর নাম এবং এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে। এখন জানবো প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে কাটা ঘা নিরাময় করা যায় সে সম্পর্কে।
নিচে কাটা জায়গা শুকানোর ঘরোয়া উপায় গুলো উল্লেখ করা হলো:
হলুদ পেস্ট
হলুদে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা ঘা শুকাতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি করতে এক চামচ হলুদের গুঁড়া, সামান্য পরিমান পানি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং ঘা এর মধ্যে প্রয়োগ করুন।
মধু
মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক এটি কাটা ঘা দ্রুত শুকাতে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে অত্যন্ত কার্যকরী। কয়েক ফোটা মধু ঘা এর ওপর লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিন। এই পদ্ধতিতে দৈনিক ২/৩ বার প্রয়োগ করতে পারেন।
নারিকেল তেল
নারিকেল তেলে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান রয়েছে যা দ্রুত ঘা শুকানোর পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। ঘা শুকাতে এবং সংক্রমণ রোধ করতে ক্ষত স্থানে কয়েকফোটা নারিকেল তেল দিন এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
এলোভেরা জেল
এলোভেরার জেল প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ঠাণ্ডা রাখে এবং ঘা দ্রুত সারাতে সহায়তা করে। কাঁচা এলোভেরার পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করে ঘা এর ওপর তা সরাসরি প্রয়োগ করুন। এটি ক্ষত স্থানের জ্বালাপোড়া কমায় এবং দ্রুত ক্ষত শুকায়।
লবণ পানি দিয়ে ধোয়া
লবণ পানি প্রাকৃতিকভাবে জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে থাকে। এটি করতে কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে ঘা পরিষ্কার করুন। এটি বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে এবং ঘা শুকানোর প্রক্রিয়া দ্রুত করবে।
রসুন পেস্ট
রসুনে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা দ্রুত ক্ষত শুকাতে কার্যকর একটি রসুনের কোয়া পেস্ট করে ঘা এর ওপর লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন। এই পদ্ধতিতে দৈনিন ২ বার রসুন পেস্ট প্রয়োগ করুন।
মনে রাখবেন কাটা জায়গায় ঘা হলে ঘরোয়া চিকিৎসা এবং সাধারণ ঔষধ সেবনের পর ৬-৭ দিনের মধ্যে ঘা শুকানোর কোনো লক্ষণ না দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
কাটা জায়গা শুকানোর এন্টিবায়োটিক মলম।
আমাদের সকলের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন দুর্ঘটনা বা কাজের সময় ছোট খাটো কাটা ছেড়া হওয়া এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই আমাদের শরীরে এ ধরনের আঘাত পেলে সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি। কেননা এই আঘাত প্রাপ্ত বা কাটা জায়গাকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে এই যত্ন নেওয়া জরুরি। তাই দ্রুত সময়ে কাটা স্থানের ক্ষত নিরাময় করতে কাটা জায়গা শুকানোর মলম সহ এন্টিবায়োটিক মলম বেশ কার্যকরী।
পড়ুন: কাটা ঘা শুকানোর পাউডার এর নাম।
এন্টিবায়োটিক মলম গুলো বিশেষভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। যা ক্ষতস্থানকে জীবাণুমুক্ত রাখে এবং তা দ্রুত নিরাময় করতে শুরু করে। এছাড়াও এন্টিবায়োটিক মলম গুলো ক্ষত স্থানের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে কাটা স্থানে জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে যায়।
নিচে কাটা জায়গা শুকানোর এন্টিবায়োটিক মলমের নাম উল্লেখ করা হলো:
- ভিওডাইন অয়েন্টমেন্ট ( Viodine Ointment ) মলম
- মোপিক্রন অয়েন্টমেন্ট ( Mupicron Ointment ) মলম
- মোপিভেট ( Mupivate ) মলম ইত্যাদি
এই মলম গুলো কাটা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক মলম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
পায়ের কাটা ঘা শুকানোর ঔষধ।
উপরে আমরা জেনেছি কাটা জায়গা শুকানোর মলম এর নাম, দাম এবং তার ব্যবহার সম্পর্কে। পায়ের কাটা ঘা এর ঔষধ সম্পর্কে। পা কেটে গেলে এবং সেখানে ক্ষত তৈরি হলে তা নিরা ময় করার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে।
প্রথমে পায়ের কাটা স্থান ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। যাতে কাটা স্থানে ইনফেকশন হতে না পারে।এর পর সেখানে বেটাডিন নামক মলমটি প্রয়েগ করুন। এ মলমটি দিনে ২ থেকে ৩ বার প্রয়োগ করগে হবে।
কাটা স্থানকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য সেখানে নেবানল নামক পাউডারটি ব্যবহার করতে হবে। এটি দিনে তিন বার ব্যবহার করতে হবে। এভাবে ৭/৮ দিন ব্যবহারে ফলে পায়ের ক্ষত স্থান ধীরে ধীরে শুকাতে শুরু করবে।
রসুনের পেস্ট করে পায়ের ক্ষত স্থানে প্রোগ করলে দ্রুত ক্ষত স্থান শুকাতে শুরু করে। তার জন্য একটি রসুনকে পেস্ট করে নিতে হবে। এরপর পায়ের ক্ষত স্থানে প্রয়োগ করতে হবে এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে দিনে ২ থেকে ৩ বার ক্ষত স্থানে রসুনের পেস্ট প্রয়োগ করুন।
কাটা স্থানে নারিকেল তেল লাগালে এটি ক্ষত স্থানের আর্দ্রতা বজায় রাখে। যা ক্ষত স্থানকে বিভিন্ন সক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে।
ইত্যাদি পদ্ধতি গুলো সঠিক ভাবে ব্যবহার করে পায়ের ক্ষত স্থান খুব দ্রুত সময়ে নিরাময় করা যায়। তবে ক্ষত গভীর হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।
FAQ
কাটা জায়গা দ্রুত শুকানোর সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি ?
উত্তরঃ কাটা ঘা দ্রুত শুকানোর জন্য সবচেয়ে ভালো এবং কার্যকরী মলম হচ্ছে বেকট্রোসিন, ট্রেগো ও বায়োডিন। এই মলম গুলো দ্রুত ঘা শুকানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী।
কাটা জায়গা শুকানোর জন্য কি শুধু মলম ব্যবহার করাই যথেষ্ট ?
উত্তরঃ কাটা স্থানের ক্ষত বা ঘা বেশি গভীর না হলে তা নিরাময় করতে মলম যথেষ্ট।
কাটা জায়গা জীবাণুমুক্ত রাখার উপায় কী ?
উত্তরঃ কাটা ঘা জীবাণুমুক্ত রাখতে কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। তাছাড়া জীবাণুনাশক লিকুইড ডেটল এবং সেবলন ব্যবহার করতে পারেন।
কাটা ঘা কখন ডাক্তার দেখানো উচিত ?
উত্তরঃ যদি কাটা ঘা ৮-১০ দিনের মধ্যে না শুকায় তবে ডাক্তার দেখানো উচিত।
শিশুদের ক্ষেত্রে কোন মলম ব্যবহার করা উচিত ?
উত্তরঃ শিশুদের জন্য নেবানল এবং বায়োডিন এই দুটি মলম ব্যবহার করা নিরাপদ।